নিজেস্ব,সংবাদদাতাঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখালের তরুণ সাংস্কৃতিক কর্মী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শ্রীনগর উপজেলা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাবা মা’য়ের একমাত্র কন্যা সানজিদা। এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে! ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁর ঘাড়ের তিনটি হাড় ভেঙ্গে গেছে! ঘারের ভিতর রক্ত জমাট বেঁধে আছে! জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে! মাথায় অসংখ্য সেলাই লেগেছে! তাছাড়া হাতের সোল্ডারের বাটি ছুটে গেছে! অবস্থা খুবই ভয়াবহ!
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়,
সানজিদার সদ্য বিয়ের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার- ০৪/০৪/২০২৫ তারিখে মিরপুর থেকে সাভারের বাসায় ফেরার পথে সি,এন,জি চালক, আশুলিয়া রোডের সুবিধা মতো জায়গায় নিয়ে সানজিদা এবং ওর বরকে কুপিয়ে, ক্ষুরের পোচে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে রেখে যায় কিন্তু ওদের কাছে থেকে টাকাকড়ি, মোবাইল, ঘড়ি কিছুই নেয়নি! এতে স্পষ্ট যে এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা।।
অগ্রসর ও প্রাণাচ্ছল সানজিদার সাংগঠনিক দক্ষতা ছিলো বিস্ময়কর৷ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিএসই ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। উদীচী’র পাশাপাশি অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সক্রিয় কর্মী।
রিডার্স ক্লাবের এক্স প্রেসিডেন্ট, কালচারাল ক্লাব, কারাতে ক্লাব, বন্ধু সভার সদস্য, কিশোর কিশোরী ক্লাবের একজন পরিশ্রমী আবৃত্তি শিক্ষক, রিকের দায়িত্বশীল এক্স শিক্ষক, সংবৃতা আবৃত্তি চর্চা বিকাশ ও মঞ্চের সদস্য, বিক্রমপুর এতিহ্য সংস্কৃতি বিকাশ মঞ্চের একজন সঞ্চালক ও সমন্বয়ক।
একজন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর৷ জুলাই আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার৷ ড. হুমায়ুন আজাদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীর অনেক অনুষ্ঠানেই সে দক্ষতার সাথে উপস্থাপনা ও আবৃত্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতো৷ উপস্থাপনা ও আবৃত্তিতে সে পারদর্শিতা দেখিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে৷ শিক্ষক হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো৷ সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে গেছে৷ সানজিদা কি আবার স্বভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে?
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মুন্সীগঞ্জ জেলা সংসদের পক্ষ থেকে, দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দাবী করছি!!